কুদ্দুস আলম:
নাগরিক শেয়ালের কথা শুনলে অনেকে বিস্মিত হবেন। কারণ, শেয়াল প্রধানত গ্রামাঞ্চলের বাঁশঝাড়-জঙ্গলে বসবাস করে। কিন্তু বসতবাড়ির জন্য নির্বিচারে বাড়ি নির্মাণ করায় জঙ্গল সাফ হয়ে যাওয়ায় শেয়ালের নির্বিঘœ বসবাসেও তারা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। তাই শেয়ালও গ্রাম থেকে শহরে এসে ঠাঁই নিতে শুরু করেছে। গাইবান্ধা শহরের মাস্টারপাড়ার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অফিসের আবাসিক এলাকায় বর্তমানে অন্ততপক্ষে ৫০ টি শেয়াল বসবাস করছে। তবে শেয়ালের ডাক শোনা যায় না। ওই এলাকাটি এমনিতেই নিরিবিলি। তার উপর গত দেড় বছর ধরে করোনার কারণে অফিসে লোকজনের যাতায়াত কমে গেছে। লকডাউনের কারণে মানুষের আনাগোনা আরও কমে যাওয়ায় এখন দিনদুপুরে শেয়ালগুলো অফিসের ভেতরের রাস্তায় চলাফেরা করে। এমনকি বাইরের রাস্তায়ও নির্বিঘেœ চলাচল করলেও মানুষ তাদেরকে কোনো ধরনের বিরক্ত করে না এবং তারাও মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। ওই এলাকার বাসিন্দাদের সাথে তাদের যেন একধরনের সখ্যতাই গড়ে উঠেছে। তবে তাদের খাবারের সংকট রয়েছে। খাবারের সন্ধানে তারা গভীর রাতে দেয়াল টপকে বাইরে আসা যাওয়া করে।
বিদ্যুৎ অফিসের পাশের বাসিন্দা কার্তিক চন্দ্র বর্মন বলেন, শেয়ালের সংখ্যা হিসেব করে বলা মুশকিল তবে, কমপক্ষে অর্ধশত শেয়ালের আস্থানা করেছে এই অফিসে বলে তিনি জানান। প্রায় রাতে শিয়ালের ডাক শুনতে পান তিনি।
এই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অফিসটি এখন নেসকো-১ এর অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই অফিসে কর্মরত সুইচ বোর্ড অ্যাটেনডেন্ট (এসবিএ) আরিফ হোসেন বলেন, ১৯ বছর থেকে শেয়াল দেখে আসছি। আগে কম ছিল, বর্তমানে সংখ্যা বেড়ে গেছে। এরা মানুষের ক্ষতি করে না, মানুষও এদের ক্ষতি করে না। এদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।