আফতাব হোসেন:
দ্বিতীয় পর্যায়ে কঠোর লকডাউনে স্থানীয় গরুর হাট বন্ধ রয়েছে। এদিকে বাড়ছে গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি। চরাঞ্চলের প্রাকৃতিক গো-খাদ্য ডুবে যাচ্ছে। এতে করে গো-খাদ্য সংকটের আশংকায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের গরুর মালিকেরা। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী এবারের কোরবানীতে প্রায় ৮০ হাজার গরু অনলাইন ও স্থানীয় হাটে বিক্রির পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। কিন্তু ঈদের আগে অনলাইনে ৪ হাজার এবং স্থানীয় হাটে প্রায় ৪৫ হাজার গরু বিক্রি হয়। লকডাউন ও হাটের অভাবে যে গরু বিক্রি করতে পারেনি সেগুলো স্থানীয় হাটে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু কঠোর লকডাউনে এগুলো ফের হাট বন্ধ রয়েছে। আবার বাড়ছে নদীর পানি। এতে করে চরে প্রাকৃতিক খাদ্যের উপর নির্ভরশীল গরু পালনকারীরা দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। কেননা স্থানীয় হাট চালু থাকলে প্রতি সপ্তাহে জেলার ভরতখালী, জুমারবাড়ি, কামারজানি, দারিয়াপুর, সুন্দরগগঞ্জ গো-হাটে অন্ততপক্ষে ৫ হাজার গরু বেঁচা-কেনা হতো। উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় গরুর হাট ভরতখালীর ইজারাদার আলহাজ্জ্ব মোহাম্মদ আলী জানান, ঈদের আগে মাত্র তিনদিন বেচাঁকেনা হয়েছে। এরপর থেকে ফের বন্ধ, জেলার চরাঞ্চলের মানুষজন সমস্যায় পড়েছে।
সাঘাটার দিঘলকান্দি চরের বারেক আলী সরকার জানান, লকডাউন বন্ধ থাকলে সরকারের পক্ষ থেকে গরুগুলো বন্যাকালীন বাঁচিয়ে রাখতে অবশ্যই গো-খাদ্য সহায়তা করতে হবে।
জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার মাসুদুর রহমান সরকার জানান, প্রতিবছর বন্যাকালীন গো-খাদ্য দিয়ে সহায়তা করা হয়। এবছরও ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে।