আফতাব হোসেন, গাইবান্ধা:
গাইবান্ধা শহরের সার্কুলার রোড ২নং রেলগেটের মা প্রেসের স্বত্বাধিকারী ওবায়দুর রহমানের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছে সাবেক ৪ কর্মচারীসহ ৬ প্রেস ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে গত ১৬ মার্চে ওবায়দুর রহমানের সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত মিথ্যা বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্য উপস্থাপনের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক কর্মচারীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুকান্ত বর্মণ। বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সঙ্গে তারা কর্মচারী হিসেবে ওবায়দুর রহমানের মালিকানাধীন মা প্রেসের চাকরি করতো। কর্মদক্ষতার কারণে প্রেস ব্যবসায় তাদের কদর বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে তিনিসহ মা প্রেসের গ্রাফিক্স ডিজাইনার স্বপন কুমার রায়, অফসেট প্রেস অপারেটর আবুজার প্রামাণিক, বাইÐার সামিউল ইসলাম মিলে পৃথক প্রেস-প্রিন্টিং ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা করেন। তাদের এই পরিকল্পনার কথা ওবায়দুর রহমান জানতে পেরে তাদের বেতন পাওনাদি বকেয়া রাখতে শুরু করে এবং তাদেরকে প্রেস ব্যবসা করতে নিরুৎসাহিত করে। এক পর্যায়ে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় ওবায়দুর রহমান তার শর্টকর্ড অফসেট মেশিনটি পূর্ব পরিচিত জেলা শহরের পূর্বপাড়া বেজিরভিটার আবু সাঈদ সরকারের কাছে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামার মাধ্যমে বিক্রি করে। পরবর্তীতে আবু সাঈদ মেশিনটি আব্দুল জলিলের কাছে ভাড়ায় প্রদান করে।
এদিকে ওবায়দুর তার মেশিন বিক্রির কথা অস্বীকার এবং আবু সাঈদের সাথে চুক্তিপত্র জাল জালিয়াতি হিসেবে অভিযোগ করে মামলা করে। ওই মামলায় আবু সাঈদ সরকার, আব্দুল জলিলসহ তার প্রেসের ৪ কর্মচারীকে ব্যবসায়িক প্রতি›দ্ব›দ্বী ভেবে হয়রানির উদ্দেশ্যে আসামি করে। কিন্তু ওবায়দুর রহমানের সিসি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মেশিন বিক্রির চুক্তিপত্র হস্তান্তরের দৃশ্য ধারণ করা রয়েছে। লিখিত বক্তব্যে সুকান্ত আরও উল্লেখ করে, ওবায়দুর তাদেরকে চাকরিচ্যুৎ করায় তিনি এখন অন্য একটি প্রেসে চাকরি করছেন এবং অপর তিন কর্মচারী স্বপন, আবুজার ও সামিউল জেলা শহরের আলমদিনা মার্কেটে থ্রি স্টার নাম দিয়ে প্রেস ব্যবসা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মা কালার প্রিন্টিং প্রেসের সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার স্বপন কুমার রায়, অফসেট প্রেস অপারেটর আবুজার প্রামাণিক, বাইÐার সামিউল ইসলাম এবং প্রেস ব্যবসায়ী আবু সাঈদ সরকার ও আব্দুল জলিল।