সুখ বাদশা রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
চরাঞ্চলের মানুষজন শহরের মতো সবধরণের সুযোগ-সুবিধা পাবে। এজন্য বর্তমান সরকার সব ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার দুটি ইউনিয়নে শুভ বিদ্যুতায়নের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি। শনিবার বিকালে ডাটিয়ারচর বাজার নামক স্থানে অষ্টমির চর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ও চিলমারী উপজেলার অষ্টমিরচর ইউনিয়নের প্রায় ৫টি গ্রামে শুভ বিদ্যুতায়নের উদ্ধোধন করেন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অষ্টমির চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবু তালেব ফকির, ওয়ার্ড সভাপতি বছির উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক মোহম্মদ আলী, কোদালকাটি ১নং ওয়ার্ড সভাপতি ইউসুফ আলী, ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসমত আলী মাষ্টার, জামালপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জেনারের ম্যানেজার মো.আলমগীর, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ড জামালপুর শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আহমত, রৌমারী শাখার সহ-জেনারেল ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম প্রমূখ।
যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজার থেকে সাবমেরিন ক্যাবল এর মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ দিয়ে প্রায় দেড় কি:মি: বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে ওই এলাকায় ৪ হাজার ৮’শ জন গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে। ইতোমধ্যে ৪০ কি: মিটারের মধ্যে ৪’শ ১২ জন গ্রাহককে নতুন সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও জামালপুর জেলার পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আলমগীর জানান, বাংলাদেশে এই প্রথম প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ দিয়ে প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের দুটি ইউনিয়নের ৪ হাজার ৮’শ সুবিধাভোগী এ বিদ্যুতের আওতায় আসবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি তার বক্তব্যে আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এই শ্লোগানকে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যে এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছেনি সেখানেও দ্রæত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। একটি ঘরেও অন্ধকারে থাকবে না এবং গ্রামকেও শহরে রুপান্তর করা হবে।