সাদুল্লাপুর থেকে লাবলু মাষ্টার (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট বোয়ালীদহ ক্লাষ্টারের দায়িত্বরত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতিকা মরিয়ম সিদ্দিকার বিরুদ্ধে ঐ ক্লাষ্টারের ১৯জন প্রধান শিক্ষক
বিভিন্ন অনিয়ম ও দূনীতির অভিযোগ এনে গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে এইইউও বোয়ালীদহ ক্লাষ্টারে যোগদানের পর থেকেই প্রধান শিক্ষকগনের নিকট হইতে স্কুল পরিদর্শনে এসে প্রাক-প্রাথমিক,দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা,রুটিন মেইনটেইন্স, শ্লীপ ও খুদ্র মেরামতের অর্থ থেকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে উৎকোচ দাবি করে আসছেন। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সরকারী বরাদ্দের অর্থ দিয়ে তার মনোনীত নিদিষ্ট একটি দোকান থেকে মালামাল ক্রয়ের নিদের্শ প্রদান করেন, কিন্তু মান সম্মত না হওয়ায় প্রধান শিক্ষকগন অন্য দোকান থেকে মালামাল কিনতে চাইলে তিনি রাজি নন। উক্ত বিষয়গুলি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে একাধিকবার মৌখিক ভাবে অভিযোগ করে আসছেন এবং তাতে সমাধান না হওয়ায় দূনীতিপরায়ন সহকারী শিক্ষা অফিসারকে বদলি করার জন্য গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে ৫ ডিসেম্বর/২০ একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা অফিসার প্রধান শিক্ষকগনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭ ডিসেম্বর/২০ ইং তারিখে ২০৪০ নং স্মারক মোতাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে এককপি পত্রদেন ও আদেশ দেন সহকারী শিক্ষা অফিসার আতিকা মরিয়ম সীদ্দিকাকে অন্য ক্লাষ্টারে বদলী করে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার জন্য ।
১৪দিন অতিবাহিত হলেও জেলা শিক্ষা অফিসারের আদেশ কার্যকর করা হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্যাহীল শাফি এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসারের পত্র পেয়েছি তবে, উপরের চাপে অদ্যবধি তাকে ক্লাস্টার পরিবর্তন করা সম্ভব হয় নাই। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষা অফিসার আতিকা মরিয়ম সিদ্দিকা অভিযোগকারী প্রধান আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট।
সরে জমিনে বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে তাদের পরস্পর বিরোধী অভিযোগের অনেকটাই সত্যতা মিলেছে।
কেউ সঠিক কাজ করেছেন আবার অনেক প্রধান শিক্ষকই কোন কাজ না করেই টাকা উত্তোলন করেছেন।
বিষয়টি উদ্ধ:তন কর্তৃপক্ষের সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিজ্ঞমহল।