সাদুল্লাপুর(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলোচিত সেই তিন প্রতিবন্ধী পেল ভাতা কার্ড।গত ২৫ নভেম্বর সাদুল্লাপুরের সমাজসেবা অফিসার মানিকচন্দ্র রায় নিজ কার্যালয়ে ডেকে তাদের হাতে ভাতা কার্ড তুলে দেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও *দৈনিক আজকের জনগণসহ কয়েকটি পত্রিকায় লাবলু মিয়া, জালাল উদ্দীনকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
এতে এগিয়ে আসেন ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রেহেনা বেগমের তিনি নিজ অর্থায়নে সাহায্যে এগিয়ে আসেন।
তিন প্রতিবন্ধীর অসহায়ত্বের রিপোর্টে প্রকাশিত হওয়ার পর তা দৃষ্টিগোচর হয় সাদুল্লাপুর সমাজসেবা অফিসার মানিকচন্দ্র রায়ের।বিষয়টি তিনি তাৎক্ষনীক আমলে নিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন সমাজ কর্মী শাহ মোহাম্মদ নাজমুল হক পাঠিয়ে দেন। তিনি ৩জন প্রতিবন্ধীর বাড়িতে গিয়ে সমাজসেবা অফিসার মানিক চন্দ্র রায়ের ব্যক্তিগত নগদ অর্থ তুলে দেওয়া সহ খোঁজ খবর নেন ।
এসময় সমাজসেবা অফিসারের প্রতিনিধি প্রতিবেদকদের আশ্বস্ত করেন, যে ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা পাওয়া মাত্রই তাদেরকে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করবেন।
সেই মোতাবেক সমাজ সেবা অফিসার গত ২৫ নভেম্বর নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তিন প্রতিবন্ধীর হাতে ভাতা কার্ড তুলে দেন।
ভাতা কার্ড তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন,ধাপেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংবাদকর্মীবৃন্দ।
সমাজসেবা অফিসার মানিক চন্দ্র রায় যাদের হাতে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড তুলে দিলেন তারা হলেন, ধাপেরহাট ইউনিয়নের তিলকপাড়া গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী গার্মেন্টস কর্মী আন্জুয়ারা বেগম(৩৫)।তিনি শারীরিকভাবে হঠাৎ পঙ্গু হলে বিনা চিকিৎসায় মানবতর জীবন যাপন করছিলেন।
অপর ব্যক্তি
হাসান পাড়া গ্রামের স্বর্গীয় শশী চরনে পুত্র হরিপদ ঋষি(৬৩)। তিনি নিঃসন্তান হওয়ায় ও নিজেস্ব জমি না থাকায় স্ত্রীকে নিয়ে পরের বাড়ীতে আশ্রিত হিসাবে বসবাস করে আসছিলেন।তিনি হঠাৎ করে প্যারালাইসিস রোগে পঙ্গু হয়ে বিনা চিকিৎসায় অসহায়ভাবে জীবন যাপন করে আসছেন।
অপরজন হলেন, হাসান পাড়া গ্রামের মৃ এস্কেন্দারের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র এতিম নুরে আরাফাত জিহাদ। সে দীর্ঘ দিন হতে মানসিক রোগে আক্রান্ত।
সামাজিক ভাবে চেয়ারম্যান মেম্বার সমাজপতি, জনপ্রতিনিধি, কেউ খোঁজ না নিলেও প্রতিবন্ধীভাতা কার্ড হাতে পাওয়ার পর প্রতিবন্ধীগন সাদুল্লাপুর সমাজসেবা অফিসার মানিক চন্দ্র রায় সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।