ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার ফুলছড়িতে গৃহবধূকে ধর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ কর্তনের শিকার পাঁচ সন্তানের জনক রুহুল আমিন গ্রেফতার এড়াতে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। শনিবার (০৩ মে) দিবাগত রাতে সবার অজান্তে তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলীয় এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ সন্যাসীর চর গ্রামের এক জেলের স্ত্রীর সাথে প্রতিবেশি আওলাদ হোসেনের পুত্র রুহুল আমিন দীর্ঘদিন যাবত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাতে ওই জেলে নদীতে মাছ ধরতে গেলে এই সুযোগে লম্পট রুহুল আমিন বাড়িতে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় উক্ত গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় গৃহবধূ তার সম্ভ্রম বাঁচাতে ধারালো ব্লেড দিয়ে রুহুল আমিনের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। ঘটনার পর রুহুল আমিন দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে রুহুল আমিনের পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেদিন থেকে লম্পট রুহুল আমিন গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদিকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত শুক্রবার সকালে ফুলছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয়দের জবানবন্দি নেন। এরপর উক্ত ঘটনায় শুক্রবার রাতেই থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়। থানায় মামলা রেকর্ডের খবর জানতে পেরে লম্পট রুহুল আমিন গ্রেফতার এড়াতে শনিবার (০২মে) দিবাগত রাতে সবার অজান্তে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। রবিবার (৩ মে) সকালে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে খুঁজে পাননি।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ হারুন-অর-রশিদ জানান, বৃহস্পতিবার (৩০এপ্রিল) সকালে লিঙ্গ কর্তন নিয়ে রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার দিবাগত রাতে তিনি সবার অজান্তে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। রবিবার সকালে পুলিশ এসে তাকে খুঁজে পায়নি।
ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ কাওছার আলী জানান, মামলা রেকর্ডের পর থেকে আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামী যেখানেই পালিয়ে যাক পুলিশ তাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।