আফতাব হোসেন:
করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমনের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে গাইবান্ধায়। ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে দেশের মধ্যে ৫ম স্থানে রয়েছে এ জেলা। ইতোমধ্যে এজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১২ জন। এছাড়াও করোনা উপসর্গ নিয়ে আত্মগোপন করে আছেন অনেকেই। আবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার শ্রমিক করোনা সংক্রমনের আশংকা নিয়ে জেলায় এসেছে। তবে প্রশাসন সহা¯্রাধিক মানুষকে বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করলেও কার্যত লকডাউন মানছেন বেশিরভাগ মানুষ। হাট-বাজার, মসজিদেও মানুষের চলাফেরা অনেক এলাকাতে এখনও স্বাভাবিক সময়ের মতোই।
জেলা প্রশাসন ১২ এপ্রিল শুক্রবার বিকাল ৫ টা হতে গাইবান্ধা জেলা কে লকডাউন ঘোষণাপ পর থেকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন মাঠে থাকলেও অহেতুক মানুষজন বাড়ির বাহির হওয়ার এবং নিয়মের তোয়াক্কা না করার প্রবণতা পার্শবতী জেলা থেকে এজেলায় অনেক বেশি।
একারণে এ জেলার আইন-শ্ঙ্খৃলা বাহিনী ক্রমেই কঠোর অবস্থানের দিকে যাচ্ছে। জেলা শহরের চলাচল ও দোকানপাঠ নির্ধারিত সময়ে বন্ধ না করলেও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। যারা অহেতুক পথঘাটে চলাফেরা করছে তাদেরকেও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট উপস্থিতে ভ্রাম্যমান আদালতে জড়িমানা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় যানবাহন ছাড়া অপ্রয়োজনীয় যানবাহন শহরের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজনে লাঠিচার্জ এর মতো সিদ্ধান্ত নিতেও বাধ্য হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়া জানান, সরকারের নিদের্শনা মানতে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে। এই নিয়ম না মানলে আইনের আওতাও নিয়ে আসা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় পুলিশ আরো কঠিন হবে বলেও তিনি জানান। ু