সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আর বাঁধা রইলো না সুন্দরগঞ্জের সেই স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের ব্রীজ নির্মাণে। ফলে নদী পারাপারের দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেলেন উপজেলার বেলকা, তারাপুর, দহবন্দ ও হরিপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজেই উপস্থিত থেকে এ ব্রীজ নির্মাণের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এসময় নদীর পারে ব্রীজ বাস্তবায়নের অন্যতম সদস্য ও বেলকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজির সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল মামুন, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম আব্দুস সোবহান, জেলা পরিষদ সদস্য ইমাদাদুল হক নাদিম, জামিউল আনছারি লিংকন, মাজেদা বেগম, বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ, বেলকা জাপার সভাপতি মফিদুল হক মন্ডল, স্থানীয় ইউপি সদস্য রিয়াজুল ইসলাম ও সাবেক কাউন্সিলর আলম মিয়া প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম। আলোচনা শেষে উপস্থিত সকলে ব্রীজ নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করেন। উল্লেখ, সুন্দরগঞ্জ পৌর সভার তিস্তা শাখা নদীর উপর রামডাকুয়া ব্রীজ। ব্রীজটি ডেবে যাওয়ায় জনদুর্ভোগের কথা ভেবে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ঐস্থানে কাঠের ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। গত বুধবার ব্রীজটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয়রা। ব্রীজ নির্মাণের স্থানটি জেলা পরিষদের জায়গা হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ সোলেমান আলী পুলিশসহ গত সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধা দেন। পরে গতকাল মঙ্গলবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নদী পারের মানুষদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে এব্রীজ নির্মাণে বাঁধা না দিয়ে উদ্বোধন করেন। ফলে আর বাঁধা রইলো না স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের ব্রীজ নির্মাণে।