গত ২৯ জুলাই অনাকাঙ্ক্ষিত এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই জন ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েকদিনে সরকার তাদের দাবি মেনে নেয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
তার উল্লেখযোগ্য কিছু হলো,
০১) সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রছাত্রীর নিহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ।
২) নিহত দুইজনের পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রত্যেক পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি অনুদান হিসেবে প্রত্যেক পরিবারের হাতে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩) নিহতের পরিবারের সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাত এবং সমবেদনা জানানো।
৪) নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদানের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ এবং কেন পরিবার প্রতি ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে তলব করা হয়েছে।
৫) সংবাদ সম্মেলনে রোড এক্সিডেন্টের ব্যাপারে প্রশ্ন উত্তরে অনাকাঙ্খিত ব্যবহারের জন্য নৌ পরিবহণ মন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা।
৬) নিহতদের পরিবারের সাথে তাদের বাসায় গিয়ে নৌমন্ত্রী শাহজান খানের সাক্ষাত এবং সমবেদনা জানানো
৭) দুর্ঘটনার সাথে জড়িত গাড়ির চালক ও সহকারীরা কারাগারে। গাড়ীর মালিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস।
৮) ঢাকার সড়কে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও লাইসেন্স বিহীন চালকদের ধরতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নির্দেশ।
৯) ‘জাবালে নূর’ বাস কোম্পানীর দুইটি রুট পারমিট বাতিল।
১০) মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে সড়ক পরিবহণ আইন মন্ত্রীসভায় উথাপিত; নতুন আইনে পরিবহণ মালিকদেরও শাস্তির বিধান রয়েছে।
এর পরেও কোন কোন মহল ও গোষ্ঠী এই আন্দোলনকে উস্কে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। শোকার্ত ছেলে মেয়েদের সেন্টিমেন্টকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। ছাত্রদের ইন্ধন দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, নাশকতা সৃষ্টি করে দেশকে অচল করে দেওয়ার নীল নকশা আঁকছে।
কোমলমতি এই ছাত্রছাত্রীরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। “শিক্ষার জন্য এসো, সেবার জন্য বেরিয়ে যাও” মন্ত্র যাদের আদর্শ, তাদের ফায়দা লোটার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না করার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।