সিলেটের বিভিন্ন দেয়ালসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত মেয়র আরিফের ওই অপকর্মের খবরগুলো। যেখানে দেখা যায়, মেয়র আরিফ ক্ষমতায় এসে নিজেকে শুধু মেয়র নন, অঘোষিত মন্ত্রী ভাবতে শুরু করেন। নগরীর এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে আরিফুল হকের নামে চাঁদ ওঠেনি। তিনি মাদক-চোরাকারবারীদের সহায়তা করে বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতেন। আর সেসব অবৈধ পথ অবলম্বন করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পাহাড়সম সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠেন আরিফ। বিষয়গুলো গণমাধ্যমে উঠে আসে। এসব ঘটনা সাধারণ মানুষের জানা থাকলেও বরাবরই প্রাণ ভয়ে তার নিশ্চুপ থেকেছেন। তবে নির্বাচনে সিলেটবাসীকে জাগ্রত করতেই সেসব পুনরায় প্রচার করা হচ্ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একজন যোগ্য মেয়র পেতে খুব গোপনে একদল তরুণ প্রার্থীদের নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রুপের একজন যুবক বলেন, আমরা কোনো দলের নয়। আমরা সিলেটের সন্তান। আমাদের প্রাণের সিলেট আমাদের চোখের সামনে শেষ হয়ে যাবে, জনগণের সেবা করার নামে দুর্নীতিতে ভরিয়ে তুলবে তা আমরা কিছুতেই হতে দেব না। তাই আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছি।
এক দল তরুণের এই ব্যতিক্রম ধর্মী প্রচারণার বিষয়টি এখন সিলেটের সব মহলের জনগণই অবগত। এ সম্পর্কে একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের কিছু ছেলেরা যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অত্যন্ত ভালো। আমরা এসব জেনেও ভয়ে কথা বলতে পারি না। আরিফুল হকের চাঁদাবাজি সবাই জানে কিন্তু বলার সাহস নেই কারো। তাকে আর সিলেটের মেয়র হিসেবে আমরা দেখতে চাই না। জনগণকে সচেতন করতে তরুণদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, শুধু সন্ত্রাস, চাঁদাবাজীই নয়, একাধিক নারী মেয়র আরিফুল হকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগও এনেছে।