গোলাম মাহবুব,চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় অষ্টমীরচর এলাকায় এক রাতেই ১০টি পরিবারসহ গত ১ সপ্তাহে প্রায় ৩০পরিবার বাস্তভিটা হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন অবকাঠামোসহ হাজার হাজার একর ফসলি জমি।
রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের মুদাফৎকালিকাপুর ২ নং ওয়ার্ডের ফকির পাড়া এলাকা থেকে জোব্বার মোল্লার গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী ভাঙ্গনের তান্ডব।
“হামরা এলা কোন্টে যামো বাহে? রাক্ষস নদী কাইল আইতত মোর বাড়ী-ভিটা সউগ ভাঙ্গি নিছে। ঘর টানারও সময় পাঁও নাই। বউ- ছাওয়া পোওয়া ধরি এলা কি করোঁও?” ভাঙ্গন কবলিত ফকিরপাড়া এলাকায় যেতেই কান্না জড়িত কন্ঠে কথা ক’টি বলছিলেন ওই গ্রামের ষাট উর্ধ মোঃ আবু ছামা।ওই এলাকার সদ্য নদী ভাঙ্গনের শিকার মোমেনা(২৮), নাছিমা(৩৫),আছির উদ্দিন(৩৭) ও পনছর মিঞা(৪৫),আনছের(৪০)সহ অনেকে জানান, গত দু’দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্রক্ষপুত্র নদ বিরামহীন ভাবে ভেঙ্গে চলেছে।এতে গত ১ সপ্তাহে প্রায় ৩০ টি পরিবার গৃহহীন ও বাস্তহারা হয়ে পড়েছে মর্মে ভুক্তভুগিরা জানিয়েছেন।সদ্য নদী ভাঙ্গা এ সকল পরিবারের অনেকেই নিজেদের ঘর টুকু সরিয়ে নেওয়ারও সময় পায়নি।ভাঙ্গন কবলিত অনেকেই পাশ্ববর্তী পূর্ব নটারকান্দিরচর ও হাছানের চরে গিয়ে অন্যের জমিতে আশ্রয় নিলেও কয়েকটি পরিবার কোথায় যাবে তা ভেবে দিশেহারা হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অষ্টমীরচর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু তালেব ফকির বলেন, বন্যা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার ইউনিয়নের প্রায় ৭’শ পরিবার বাস্তভিটা হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তিনি নদী ভাঙ্গা পরিবারের তালিকা ইউএনও অফিসে জমা দিয়েছেন। তাদের কোন ব্যবস্থা না হতেই নতুন করে আরও ৩০টি পরিবার গৃহহীন হওয়ার কথা জানান তিনি।