সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সাঘাটায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচীর জনবল নিয়োগের যাচাই-বাছাইয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে। একের পর এক প্রতিবাদ ও কর্মসূচী দিয়ে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের অন্তর্ভুক্ত করতে এই আন্দোলন করে যাচ্ছেন উপজেলার সচেতন মহল। এর ধারাবাহিকতায় আগামীকাল (রবিবার) মানববন্ধন কর্মসূচীর আহŸান করা হয়েছে।
সরকার দেশের বেকার যুবদের ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচীর জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে পত্রিকার মাধ্যমে দরখাস্ত আহŸান করে। সে মোতাবেক সাঘাটা উপজেলার ৩ হাজার ২’শ ৩৮টি আবেদন জমা পড়ে। এসব যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব, অন্যান্য কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সদস্য করে একটি যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও সদস্য-সচিব অন্যান্য সদস্যদের অগোচরে এসব আবেদন যাচাই বাছাই করে। এতে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা যাচাই বাছাই কমিটি কর্তৃক অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য ও বহিরাগত (অন্য উপজেলার) প্রার্থীদের যাচাই বাছাইয়ে টিকিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠে। এপ্রেক্ষিতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকারসহ বিভিন্ন দপ্তরে উপজেলার ১০ ইউপি চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র দায়ের করেন। ফলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্মকর্তার এধরেনর মনগড়া দায়িত্বহীনতার কারণে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করে। কিন্তু দুর্নীতির নাটের গুরু উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ক্রেডিট সুপারভাইজার রেজাউল করিমসহ অন্যরা বহাল তবিয়তে থাকায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান -মেম্বারসহ সাধারণ জনগণ ফুঁেস উঠেছে। তারা দূর্নীতির সাথে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, পূণরায় যাচাই-বাছায়ের মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতীদের ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবীতে আগামীকাল রবিবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এ ব্যাপারে বোনারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়ারেছ প্রধান ও ভরতখালী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আজাদ শীতল বলেন, দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।