স্টাফ রিপোর্ট:
৭৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর উপর তিস্তা সেতু নির্মিত হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি এলজিইডির অধীনে সেতুর উভয়পাশে নির্মিত হবে ৮০ কি.মি. আঞ্চলিক মহাসড়ক বাস্তবায়িত হবে।
গাইবান্ধা এলজিইডি কার্যালয় সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর এলাকায় তিস্তা নদীর উপর সেতু নির্মাণে আন্দোলন চলছে। দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার তিস্তা নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়। সুন্দরগঞ্জের চন্ডিপুর ইউনিয়নের হরিপুর থেকে চিলমারি উপজেলার জোরগাছ ইউনিয়নের রজবখালি এলাকা পর্যন্ত এই সেতু নির্মিত হবে। সেতুর দৈর্ঘ্য এক হাজার ৪৯০ মিটার (প্রায় দেড় কি.মি.) এবং প্রস্ত হবে সাত দশমিক ৩২ মিটার। জমি অধিগ্রহন ও আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণসহ সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩০ কোটি টাকা। গতবছরের ১৬ মার্চ সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। ইতোমধ্যে সৌদি দাতা সংস্থা এসএফডি এবং ওএফআইডি এর সঙ্গে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। এ ছাড়া সেতুর ডিজাইন, পরিবিক্ষণ, তদারকি উপদেষ্টা ফার্ম নিয়োগ ও ঠিকাদার তালিকাভুক্তির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে সেতুর উভয়পাশে ৮০ কি.মি. আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মিত হবে। মহাসড়কের জন্য ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ মন্ত্রনালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়। প্রস্তাবিত আঞ্চলিক মহাসড়কটি কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলা সদর থেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, পাচপীর বাজার, চন্ডিপুর, গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষিপুর বাজার হয়ে সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট এলাকায় ঢাকা-রংপুর জাতীয় মহাসড়কে মিলিত হবে। এটি নির্মিত হলে কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার দুরত্ব ৬০ কি.মি. কমে যাবে।
গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুল আলম বলেন, সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি নানা জটিলতায় বিলম্বিত হয়। এনিয়ে মানুষের মধ্যে হতাশা ছিল। কিন্তু এখন সেতু নির্মাণে আর কোনো বাঁধা নেই। তিনি বলেন, ডিজাইন উপদেষ্টা ফার্ম সেতুর ডিজাইন যাচাই-বাছাই করে দিলে দরপত্র আহবান করা হবে। এটি নির্মিত হলে কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার দুরত্ব ৬০ কি.মি. কমে যাবে। পাশাপাশি এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
সেতুর বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে সুন্দরগঞ্জ তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক শরিয়ত উল্যা মাস্টার বলেন, তিস্তা সেতু নির্মাণের দাবিতে একযুগ ধরে আন্দোলন করছি। অনেক সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, লিফলেট বিতরণ করেছি। সেতু নির্মাণের কথা শুনে ভাল লাগছে। তবে সেতুটি নির্মাণ দেখে যেতে পারলে আরও ভাল লাগবে।